নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের জানাযা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর)দিবাগত রাত দুইটার দিকে বক্তাবলীর নবীনগর শাহওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নবীনগর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত সাড়ে বারোটার দিকে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় শাওনের লাশ তার বাড়িতে নেওয়া হয়। এসময় নিহতের পরিবারের আহজারিতে ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ।
নিহত শাওন যুবদল কর্মী হলেও সন্ধ্যায় শাওনকে যুবলীগকর্মী দাবি করে তার হত্যার বিচারের দাবিতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আলীম শেখ, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফকির চাঁন বেপারী, এনায়েতনগর ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান শেখ, নিহত শাওনের মামা মীর হোসেন, শহিদ মোদিসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেকের সাথে মিছিলে যায় নিহত শাওন। তিনি মিছিলের অগ্রভাগে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলো। পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শাওন এছাড়া আহত হয় প্রায় শতাধিক নেতা- কর্মী। নিহতের পর থেকে শাওনের বিএনপি, যুবদলের হয়ে বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে আসে ও ভাইরাল হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।