লামায় এক গৃহবধূ স্বামীর মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঘিলাতলী এলাকা থেকে গৃহবধূ হনুফা বেগম (২৪) এর লাশ উদ্ধার করে লামা থানা পুলিশ। এসময় পাষন্ড স্বামী মোঃ ফোরকান কে আটক করেছে হয়েছে।
নিহত হনুফা বেগম মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার চিনি পাড়ার মৃত শুয়া মিয়া ও ছকিনা খাতুনের মেয়ে এবং লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকার মোঃ ফোরকান এর স্ত্রী। পাষন্ড স্বামী মোঃ ফোরকান ঘিলাতলী এলাকার মোঃ রফিক উদ্দিন এর ছেলে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুধন দাশ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে উপস্থিত হয়। তিনি বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী মোঃ ফোরকান এখন পুলিশের হেফাজতে আছে।
বিষপানে আত্মহত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইন মামুন বলেন, তার স্বামী ফোরকান সব সময় তাকে মারধর ও নির্যাতন করত। স্বামীর সংসারে তার সুখ ছিলনা।
নিহতের স্বজনরা বলেন, গত ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামী মোঃ ফোরকান তার স্ত্রী হনুফা বেগমকে মারধর করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ির পাশে পাহাড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে বিষপান করে। বিষপান করার পরে সে বমি করতে থাকলে এলাকার লোকজন সবার কাছ থেকে চাঁদা তুলে তার স্বামীকে দিয়ে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে হনুফা বেগম এর অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে।
কিন্তু শশুর বাড়ির লোকজন তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে না নিয়ে চকরিয়া সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাকে আবার ওয়াস করে ও ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়। আজ শনিবার সকালে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেয়। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এদিকে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মোঃ ফোরকান কে আটক করে।