বিয়ের ৩ মাস পর চিরকুট লিখে গলায় ফাঁ’স দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

বিয়ের ৩ মাস পর চিরকুট লিখে গলায় ফাঁ’স দিয়ে আ’’ত্মহ’ত্যা করেছেন ছন্দা রায় নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রী। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকার মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ঝু’ল’ন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ছন্দার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। স্বামী উত্তম কুমার রায়ের সঙ্গে ঢাকার মুগদায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৫ সেশনের ছাত্রী ছিলেন ছন্দা।

ছন্দার মেজ বোন দ্বীপা রায় বলেন, ‘তিন মাস আগে পছন্দের ছেলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেই। তার স্বামী উত্তম কুমার বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। চাকরি সূত্রে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতো আমার বোন।

সোমবার বিকেলে নিজ রুমের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আ’ত্মহ’’ত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। তাতে লিখা ছিল- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি তার হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি এটা ওরই হাতের লেখা।’

জানতে চাইলে ছন্দা রায়ের স্বামী উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আমি অফিস থেকে দুপুরে ছন্দাকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে রেসপন্স করেনি। বিকেলে এসে দেখি দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বারবার বলার পরও দরজা খুলছিল না। আমি বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী সু’’ই’সা’ইড করেছে।’

এ বিষয়ে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘সোমবার বিকেলে ছন্দা রায় নামের এক নারী আ’ত্ম’হ’’ত্যা করেছে বলে খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মর’দেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।’

‘একটি ইউডি মামলার এজাহার দিয়েছে নি’হ’তের পরিবার। আমরা মাম’লা নথিভুক্ত করেছি। ম’র’দেহ ময়না’তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, বলেন মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।

এদিকে, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনে আমরা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছি না। তিনমাস হলো বিয়ে হলো ছন্দা রায়ের। এরই মধ্যেই সে আত্মহ’’ত্যা করেছে। কী এমন হয়েছে তার সঙ্গে জানি না। তার মৃ’’ত্যুর জন্য সমাজ, পরিবার ও তার স্বামী দায়ী। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে প্যারিস রোডে মানববন্ধন করব।’