বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পরিবারে নবজাতক জন্ম নেওয়ার খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করার জেরে মারধরে আলমগীর হোসেন (৫০) নামে এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর একই গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের পরিবারের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- নিহত আলমগীর হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (২৫), সাজেদুল হোসেন (২২), সাখিল হোসেন (১৯) এবং নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০), তার মেয়ে শাবনুর (২৫) ও ছেলে সজিব হোসেন (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেনের নাতজামাই সবুর মিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। তিনদিন আগে জাহাঙ্গীরের পুত্রবধূ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এ খুশিতে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে জাহাঙ্গীরের মেয়ে শাবনুর খাতুন সবুর মিয়ার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান। কিন্তু সবুরের পরিবারের লোকজন মিষ্টি না নিয়ে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে সবুর মিয়ার বাড়িতে যান।
এতে সবুর মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীরসহ সাতজনকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ১২টার দিকে আলমগীর মারা যান। ঘটনার পর থেকে সবুর মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।