ছিনতাইকারীদের মোবাইল দিতে না চাওয়ায় প্রাণ যায় ডা. বুলবুলের

রাজধানীর শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুলের রিকশা গতিরোধ করে সঙ্গে থাকা সবকিছু দিয়ে দিতে বলেন ছিনতাইকারীরা। তবে বুলবুল মোবাইলফোন দিতে না চাওয়ায় ছিনতাইকারীরা তার উরুতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। এরপর তার কাছে থাকা নোকিয়া ব্রান্ডের স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা। পরে আহত অবস্থায় ডা. বুলবুলকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গরিবের চিকিৎসক খ্যাত ডা. বুলবুলকে হত্যা করে ছিনিয়ে নেওয়া স্মার্টফোনের জন্য চার ছিনতাইকারী পেয়েছেন মাত্র ১৫শ টাকা। এই টাকা দেন তাদের দলনেতা রায়হান।

সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার চার্জশিটে এসব কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

শেওড়াপাড়ায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো চিকিৎসকের

চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. রায়হান ওরফে সোহেল আপন (২৭), সদস্য রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান হৃদয় (২৩), সোলায়মান (২৩) ও রিপন।

২০২২ সালের ২৭ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর থানায় তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

বুলবুল হত্যা মামলার তদন্তে যা উঠে এসেছে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, ‘মামলার ভিকটিমের স্বামী বুলবুল আহমেদ (৩৯) দন্ত চিকিৎসক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তিনি ঠিকাদারী কাজের জন্য ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিানটের দিকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার জন্য রিকশাযোগে রওনা হন।’