টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গৌরাঙ্গ সরকার (৫২) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা মহিষডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি উপজেলার হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এর আগে বুধবার গৌরাঙ্গ সরকারের বিচার ও বদলি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি জোসনা সরকার।
এলাকাবাসী ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) স্কুল ছুটির পর একটি কক্ষে ওই শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেন প্রধান শিক্ষক। তবে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দেন। শিক্ষার্থী ভয়ে দুইদিন কিছু না বললেও পরবর্তী সময়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিপেন মজুমদার বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রমাণ রয়েছে। লজ্জায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা গোপন রেখেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জোসনা সরকার বলেন, ওই শিক্ষকের অসভ্যতার কারণে স্কুলে দিনদিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীর চাচা বলাই বাদ্যকরের অভিযোগ পেয়ে আটক করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।