চিপস কিনতে গিয়ে বাসায় ফিরলো বস্তাবন্দি লাশ হয়ে

গত সোমবার বিকেল ৪ চারটায় মায়ের কাছ থেকে ২০ টাকা চেয়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় মারজানা হক বর্ষা নামে ৭ বছরের এক কন্যা শিশু। এরপর গলির মুখে সিকদার হোটেলের পাশের আজাদ স্টোর থেকে চিপস ও বিস্কুট কিনে বাসার উদ্দেশ্যেই গিয়েছিল সে। কিন্তু বাসায় না গিয়ে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে খুঁজতে বের হয় বাসার লোকজন। আশপাশেসহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরকে ও পরে থানায় অবহিত করা হয়। তাকে খুঁজে পেতে নগরজুড়ে মাইকিংও করা হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোতোয়ালি থানার পুলিশ টিম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একই এলাকার একটি বিল্ডিংয়ের পেছনের নালা থেকে তিনদিন আগে হারিয়ে যাওয়া বর্ষার লাশ উদ্ধার করেন তারা। উদ্ধারের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানা সূত্র জানায়। স্থানীয়রা জানায় -চিপস কিনে বাসায় ফেরার পথে মারজানকে লোভ দেখিয়ে একটি বিল্ডিংয়ের পেছনে নিয়ে যায় লক্ষ্মণ দাশ, পরে সেখানেই ঐ কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর মুখ চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে সে ধর্ষক লক্ষ্মণ।

এদিকে উদ্ধার হওয়া নগরীর কুসুমকুমারী স্কুলের শিক্ষার্থী কন্যা শিশু মারজানা হক বর্ষার খুনী লক্ষ্মণ দাশ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া দোকান কর্মচারী লক্ষ্মণের বরাতে পুলিশ জানায়, বর্ষাকে ধর্ষণের পর মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল লক্ষ্মণ। নিখোঁজের তিনদিন পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নালা থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে সন্দেহজন বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নেয় জামালখানের মুদির দোকান শ্যামলী স্টোরের কর্মচারি লোহাগাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মণ দাশ।