লক্ষীপুরে বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আনিকা আক্তার (১৭) পুড়ে মারা যাওয়ার ৮ দিন পর দগ্ধ মা জোসনা বেগমও (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
nagad-300-250
বুধবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোসনা মারা যান। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে তার ছেলে রোকন মাহমুদ রুপম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জোসনা সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পূর্ব মাগুরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা জানা গেছে, ১১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে প্রবাসী আনোয়ারের ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরে ঘুমে ছিলেন আনোয়ারের স্ত্রী জোসনা বেগম, অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আনিকা আক্তার ও ছেলে রুপম। আগুন লাগার পর জোসনা ও রুপম আঁচ করতে পেরে চিৎকার চেচামেচি করে। এরমধ্যেই তারা পুড়ে দগ্ধ হয়। তবে ঘুমে থাকা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আনিকা আগুনে পুড়ে মারা যায়। আগুন নেভানোর পর তার কঙ্কাল দেখা যায়।
উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোসনা মারা গেছেন। রাতেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। তার ছেলে রুপম চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ভূক্তভোগী পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।